জানা গেছে, ভাষণে কী প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে তিনি কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন সেগুলো তুলে ধরবেন। এছাড়া, ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনতিবিলম্বে বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা ও সহায়তা চাইবেন তিনি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক-আঞ্চলিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তার ভাষণে।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশে গঠনের বিশ্ববাসীর সহায়তা, বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের রূপরেখা বিশ্ববাসীকে জানাবেন ড. ইউনূস।
ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী সমাজ গঠনে তার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরবেন ভাষণে। বাংলাদেশের এই গণঅভ্যুত্থান সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে এমন বক্তব্যও দিতে পারেন। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক-যোগাযোগ মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেটিরও বর্ণনা দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের এবাার বিতর্কের মূল প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে, ‘কাউকে পিছিয়ে রাখা নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা’।
বিশ্বজুড়ে সংঘাত নিরসনের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে সামনে রেখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম অধিবেশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় গত ১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্ব নেতাদের মিলনমেলা শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিন দিনের সফর শেষে আজ শুক্রবার ঢাকার পথে রওনা হবেন তিনি। এবার তার সফরসঙ্গীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫৭ জন।