তথ্যপ্রযুক্তি লেখক ও সাংবাদিক মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ-এর নতুন বই ‘এআই শিখুন, টাকা গুনুন’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। বইটির অনলাইন প্রি-অর্ডার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। পাঠকদের জন্য বইটি প্রকাশ করছে সিসটেক পাবলিকেশন্স।
ডিজিটাল যুগে আমরা এমন এক মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে কীবোর্ডের টোকায় ডলার বেজে ওঠে, আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হয়ে উঠছে মানুষের নতুন সহকর্মী। এই বই সেই সেতুবন্ধন—শেখা থেকে আয়, সাংবাদিকতার অনুসন্ধান থেকে শুরু করে সাধারণ পাঠকের জন্য সচেতনতার বার্তা।
বইটি তিন ভাগে বিভক্ত। প্রথম অংশে রয়েছে তরুণদের জন্য আয়ের গাইড—এখানে বলা হয়েছে কীভাবে এআই কনটেন্ট প্রম্পট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটে সুযোগ তৈরি করা যায় এবং ছোট ছোট আইডিয়া থেকে বড়সড় ইনকাম সম্ভব হয়।
দ্বিতীয় অংশ সাংবাদিকদের জন্য একেবারে ইনভেস্টিগেটিভ হ্যান্ডবুক, যেখানে এআই টুল দিয়ে ডেটা খোঁজা, সোর্স যাচাই এবং সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কার্যকর টিপস রয়েছে।
তৃতীয় অংশ সাধারণ পাঠকের জন্য—যেখানে সহজ ভাষায় বোঝানো হয়েছে এআই-এর সুযোগ ও ঝুঁকি, ডিপফেক কিংবা ভুয়া খবর চিনে ফেলার কৌশল।
কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী লেখক মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ ২০০৩ সাল থেকে এক ডজনেরও বেশি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বই প্রকাশ করেছেন। তাঁর লেখা “ওয়েব ডেটাবেজ অ্যাপ্লিকেশন: মাইএসকিউএল-পিএইচপি” ছিল বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইটের ডেটাবেজ ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের প্রথম বই। এর জন্য তিনি ২০২১ সালে ‘বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড’ পান।
মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ-এর লেখার ধরন প্রাণবন্ত ও পাঠকবান্ধব। কোথাও টেকনিক্যালি সিরিয়াস, আবার কোথাও রসিক তুলনা—ফলে বই পড়তে গিয়ে মনে হয়, যেন বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় বসে নতুন নতুন হ্যাক শিখছেন।
এই বই পড়ার বিশেষ কারণও আছে। যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান কিন্তু পথ পাচ্ছেন না, যারা সাংবাদিকতা করছেন আর ডেটা টুলসের ম্যাজিক শিখতে চান, কিংবা যারা সাধারণ পাঠক হিসেবে জানতে চান এআই কীভাবে জীবন বদলাচ্ছে—তিন শ্রেণির পাঠকের জন্যই বইটি সমান উপযোগী। সব মিলিয়ে, “এআই শিখুন, টাকা গুনুন” শুধু একটি বই নয়, বরং এআই যুগে টিকে থাকা এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য এক পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ।
মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ বলেন—
“এই বই পড়ে এআই দিয়ে আয় করার অসংখ্য দারুণ উপায় জানতে ও শিখতে পারবেন। চাইলে এআই কনটেন্ট টুল ব্যবহার করে লেখালেখির সার্ভিস অফার করতে পারেন, ব্র্যান্ড ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করতে পারেন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)-এ কাজ করা ফ্রিল্যান্সাররা এআই–চালিত এসইও সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন। এমনকি নিজস্ব জিপিটি বানিয়ে সেটিও বিক্রি করা সম্ভব।
শিল্প ও সৃজনশীলতায় আগ্রহীরা এআই–জেনারেটেড আর্ট বা ছবি তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। একইভাবে এআই–চালিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড অ্যাডভার্টাইজিং ম্যানেজমেন্ট, ভাষান্তর ও লোকালাইজেশন সার্ভিস, ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি, অনলাইন কোর্স অফার কিংবা টিউটরিংয়েও এআই ব্যবহারের বিশাল সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া এআই–চালিত ওয়েবসাইট, কাস্টম চ্যাটবট, মোবাইল অ্যাপ, ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস কিংবা লিড জেনারেশন অটোমেশন—সব ক্ষেত্রেই এআই ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডেটা সংগ্রহ, ম্যানেজমেন্ট ও বিশ্লেষণে এআই এখন অসাধারণ সহকারী। এমনকি এআই–চালিত কনটেন্ট তৈরি করে ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকেও আয় করা সম্ভব।”
বইটির মুদ্রিত মূল্য ৪০০ টাকা। প্রি-অর্ডারে পাওয়া যাচ্ছে ৩২০ টাকায় (২০% ছাড়ে) এই ঠিকানায়: https://www.rokomari.com/book/504542/ai-shikhun-taka-gunun